(তৃতীয় অংশ)
মধ্যবিত্তের
বিশ্বাসঘাতকতা এবং গ্রামীণ স্বাধীণতা সংগ্রাম
কলাবতী মুদ্রা বাঙলার নতুন
ইতিহাস সন্ধানে নামছে. এটি একটি বইএর
আকারে প্রকাশিত হবে আগামী দিনে. বিষয় গ্রামীণ বাঙালির
ব্রিটিশ বিরোধিতা এবং মধ্যবিত্তের বিশ্বাসঘাতকতা. এই বিষয়টি বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখছেন কলাবতী মুদ্রার
কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বেন্দু নন্দ. কখোনো নিজের নামে এবং সখোনো নিজের ছদ্মনাম পার্থ
পঞ্চাধ্যায়ী নামে. কলাবতী মুদ্রার অন্যতম পথ প্রদর্শক জয়া মিত্রর পত্রিকা ভূমধ্যসাগরএ এই দুই নামেই
বিশ্বেন্দু বেশ কয়েকটি লেখা লিখেছেন যার মূল বিষয় কলাবতী মুদ্রার কাজ করতে গিয়ে
তিনি বাঙলার যে লৌকিক জীবনের অভিজ্ঞতালাভ করেছেন তাঁর নির্যাসটুকু.
কিন্তু এতেও সাধ মিটছিল না
বিশ্বেন্দুর. তিনি বারবার কলাবতী মুদ্রার নানান বৈঠকে মধ্যবিত্তের বিশ্বাসঘাতকতা
বিষয়ে যে লিখতে চান, তার ছাড়পত্র চাইছিলেন. যদিও ছাড়পত্র তাঁর নেওয়ার প্রয়োজন
ছিল না, তবুও তিনি কলাবতী মুদ্রার অছি পরিষদকে জানান যে এই কাজটি তিনি কলাবতী
মুদ্রার নামেই করতে চান. বহু আলোচনার পর কলাবতী মুদ্রার অছি পরিষদ তাঁর এই আবেদনটি
মঞ্জুর করে.
এই বছরেই তিনি হাওড়ার আলো পত্রিকায় এই বিষয়ে
কয়েকটি লেখা লেখেন. কলাবতী মুদ্রা আশাকরে আগামী দিনে তিনি নতুন এই প্রকল্পে নতুন
কিছু তত্ব বাঙলাকে দান করতে পারবেন. কলাবতী মুদ্রা পক্ষ থেকে বিশ্বেন্দুর গবেষণার
কাজ শুরু হয়েছে. নানান ধরণের সূত্র থেকে তিনি তাঁর নানান তথ্য সংগ্রহ করছেন.
কলাবতী মুদ্রা তাকে শুভেচ্ছা জানায়.
পথব্যবসায়ী পুস্তক
প্রকল্প
২০১০ সালে একটি ডেনমার্কের
ছাত্রসংস্থা ইনোএইড কলকাতার পথ খাবার বিক্রেতাদের বিষয়ে উন্নয়ণের কাজ করতে আসে.
প্রাথমিকভাবে সুন্দরবনের বাসন্তীর স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ
কেন্দ্র কলাবতী মুদ্রার কর্মাধর্যক্ষ বিশ্বেন্দু নন্দকে এ প্রকল্প রূপায়ণে তাঁদের
সাহায্য করতে অনুরোধ করেন. তিনি কলাবতী মুদ্রার অনুমতি নিয়ে এ বিষয়ে সহায়তা করতে
রাজি হন, যেহেতু এক সময় বিশ্বেন্দু পথ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করা সংস্থায় বহুদিন
স্বেচ্ছাব্রতীর কাজ করেছিলেন. সংস্থাটি জানায় বিশ্বেন্দুর অভিজ্ঞতা তাঁরা কাজে
লাগাতে চান. সংস্থার পক্ষে বিশ্বজিত মহাকুড় এবং ডোনমার্কের প্রবাসী বাঙালি গণেশ
সেনগুপ্ত প্রথমে বিশ্বেন্দুকে ব্যক্তিগতভাবে, পরে কলাবতী মুদ্রাকে পথ খাবার
প্রকল্পে সামিল হতে অনুরোধ করেন. এই কাজ করতে ব্যক্তি বিশ্বেন্দু এবং কলাবতী
মুদ্রা অপারগ, এই কাজে সে এবং কলাবতী মুদ্রা পরামর্শ দিতে পারে, এমন কথা তাদের
জানিয়ে দেওয়া হয়.
পথের খাবার প্রকল্প শুরু হলে
কলাবতী মুদ্রা সংস্থাকে পথ ব্যবসায়ী বিষয়ে একটি পুস্তক প্রকাশের অনুরোধ জানায়.
সংস্থাটির সঙ্গে কলাবতী মুদ্রা এই পুস্তকটি যৌথভাবে প্রকাশ করবে. কলাবতী মুদ্রা
জানায় পুস্তকের পরিকল্পনা, ভাবনা এবং লেখা যোগাড়ের দায়িত্ব তার. জয়গোপালপুর গ্রাম
বিকাশ কেন্দ্র শুধু আর্থিক সাহায্য দিক.
শেষ পর্যন্ত লেখা যোগাড় হলেও
আর্থিক টালবাহানায় এই বছরে বইটি প্রকাশ হতে পারে নি. কাজ চলছে. কলাবতী মুদ্রার আশা
আগামী বছরেই এই বইটি প্রকাশিত হবে. বইটি সম্পাদনা করবেন দুটি নামেই বিশ্বেন্দু
নন্দ.
পরে ইমেলচালাচালি এবং
সংস্থাগত বৈঠকে ঠিক হয় পরের বছর ২৪ নভেন্বর এই পুস্তকটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ
পাবে, যেহেতু পরের বছর হকার উচ্ছেদের অপর নাম অপারেশন সাননশাইনের ১৫ বছর পূর্ণ হবে.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন